হিজামা/ কাপিং থেরাপি

  • হিজামা টিস্যু থেকে বিষ মুক্ত করতে সহায়তা করে।
  • লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম সক্রিয় করে।
  • বড় রক্তনালী পরিষ্কার করে এবং রক্ত সঞ্চালন সক্রিয় করে।
  • লিম্ফ্যাটিক গ্রন্থি ও রক্ত নালী পরিষ্কার করে বিশেষ করে পায়ের পাতার, যাহা পরবর্তীতে সারা দেহে ছড়িয়ে পরে, ইহা দেহে থেকে যাওয়া ঔষধের পরিমাণও দেহ থেকে বের করে দেয়।
  • দেহের কোন স্থানে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করতে বা কোন অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন কম হলে তা দূর করতে কাপিং করার দরকার হয়।

দেহের সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ইম্যুনিটি গ্লান্ডস, বিশেষ করে থাইমাস গ্লান্ড যাহা পিঠে ৪র্থ ভার্টিব্রা বরাবর কাপিং করা হয়। হরমোন নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘাড়ের ৭ম সার্ভাইকাল ভার্টিব্রা বরাবর কাপিং করা হয়। মানসিক উন্নতির জন্য হিজামা দেয়া হয় : ঘাড়ের ৭ম ভার্টিব্রা, লাম্বার ৫ম ভার্টিব্রা, গলব্লাডারের নট (লাম্বার ১ম ও থোরাসিক ১২তম) বরাবর হিজামা করলে নার্ভাসনেস, রাগ, বিষন্নতা, অবসাদ, প্রতিক্রিয়া, নিষ্ঠুরতা ও বেপরোয়া ভাব নিয়ন্ত্রণ করে, রোগীর মানসিক অবস্থার উন্নতি ঘটায়। আল্লাহর ইচ্ছায় রোগী দ্রুত সুস্থ্য হয়ে ওঠে।

হিজামা’র বিশেষ কিছু উপকারিতাঃ

  • শরীরের জয়েন্টগুলোতে ব্যাথা,ঘাড়, হাটু এবং কোমর ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
  • মাথা ব্যথার জন্য বিশেষ উপকারী।
  • শরীর থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ/Toxin বের করে নিয়ে আসে,
  • শরীরের ব্যথা/ জ্বালাপোড়া হৃাস করে,
  • ত্বক পরিষ্কার করে।
  • রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে,
  • ঘুমের উন্নতি করে
  • শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে,
  • কিডনি ও লিভারকে পরিস্কার করে ,
  • হৃদ রোগের ঝুকি কমায় এবং হার্ট সুস্থ রাখে,
  • বৃদ্ধ মানুষের বাত/ব্যথা নিপীড়ন করে।

হিজামা একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যা নবী সা:নিজেও নিয়েছেন এবং অন্যদেরকে এটার প্রতি উৎসাহিত করেছেন।
আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা: বর্ণনা করেন ।রাসুলূল্লাহ সা: যখন ইহরাম অবস্থায় তখন একগুঁয়ে মাথাব্যথার জন্য হিজামা ব্যবহার করেন।(বুখারী ৫৭০১)